top of page
Writer's pictureThink-Tank

বেক্সিমকো গ্রুপ ঋণ পুনঃতফসিলের অনৈতিক সুবিধা নেয়নি


বেক্সিমকো গ্রুপ বাংলাদেশের অন্যতম নের্তত্বস্থানীয় কোম্পানি। এটি অনেক উদ্যোগের পথিকৃৎ। এই কোম্পানিটি কর্পোরেট সংস্কৃতি তৈরি করেছে, নিশ্চিত করেছিল অনেক কর্মসংস্থান এবং র্থনীতিতে বিরাট অবদান রেখেছে। কিন্তু কোম্পানিটি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোন ধরনের অনৈতিক সুবিধা না নিয়েই নিয়ম ও আইন অনুযায়ী ব্যবসা করে যাচ্ছে।


ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান সম্প্রতি দাবি করেছেন, বেক্সিমকো গ্রুপ বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ পুনর্নির্ধারণের অনৈতিক সুবিধা নিয়েছে। তিনি বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান অন্যতম বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাংসদ সালমান এফ রহমারেন দিকেই ইঙ্গিত করেছেন।


টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামানের মন্তব্য নিন্দা ও অসম্মানজনক। তিনি তথ্য ও পরিসংখ্যান না জেনেই মন্তব্য করেছেন। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় তিনি বেক্সিমকো গ্রুপের ৬০,০০০ কর্মী এবং সাংসদের অপমান করেছেন। বেক্সিমকো গ্রুপ অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজকের এই পর্যায়ে এসেছে।


বেক্সিমকো গ্রুপ ২০০১-২০০৬ পর্যন্তু বিএনপি সরকারের আমলে এবং ২০০৭-০৮ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হয়েছিল। সে সময় এর ভাইস-চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তারও করা হয় । সে সময়কার প্রশাসন কোম্পানির ক্ষতি ও নিশ্চিহ্ন করতে পদক্ষেপ নেয়। কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ চাঁদাবাজি করা হয়। কোম্পানিটি শেষ পর্যন্ত আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে এবং সময়মতো ব্যাংকগুলোর আগের ঋণ পরিশোধ করতে পারেনি ।


টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এই মন্তব্য করার সময় এসব বিবেচনায় নেননি । তিনি এটাও জানাননি যে একটি অডিট সুপারিশ অনুযায়ী কোম্পানিটির ঋণ পরিশোধ করতে ১২ বছর সময় লাগবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সুপারিশ অনুযায়ী ঋণ পুনঃতফসিল করে কোম্পানিকে ছয় বছরের মধ্যে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল লোন পরিশোধ করতে নির্দেশ দেয় ।


তবে তারল্য সংকটের কারণে প্রতিষ্ঠানটি এখন ঋণ শোধ করার অবস্থায় নেই এবং বাংলাদেশ ব্যাংককে পুনঃতফসিল করার জন্য অনুরোধ করেছে। বেক্সিমকো গ্রুপ ও অন্যান্য ঋণগ্রহীতাদের অবস্থা ও অনুরোধ বিবেচনা করার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই ঋণ পুনঃপুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়।


এখানে অনৈতিক কিছু হয়নি বা অভূতপূর্ব কিছু নয় । উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ঋণ পুনঃতফসিলিং সুবিধা প্রদান করা হয় সেই সব কোম্পানিগুলোকে যারা দীর্ঘ সময় ধরে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখে । বেক্সিমকো গ্রুপের ব্যবসা সম্প্রসারণ তারল্য সঙ্কটের একটা কারন । তার পরেও গত দশ বছরে ৬,০০০ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ করেছে।


টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামানের এই মানহানিকর ও অসম্মানজনক মন্তব্য এসেছে এমন এক সময়ে যখন অর্থনীতি এবং বেক্সিমকো গ্রুপ ঘুরে দাঁড়াচ্ছে । কোনো ভাবেই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ পুনঃতফসিলিংয়ের অনৈতিক সুবিধা নেয়নি।

4 views0 comments

Comments


bottom of page