বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী কোন বৈদেশিক কোম্পানি যখন বাংলাদেশে ঔষধ বিক্রি করবে, সেই কোম্পানির একটি লোকাল ডিস্ট্রিবিউটর থাকতে হবে। অথবা সেই কোম্পানির নিজস্ব কার্যালয় বাংলাদেশে থাকতে হবে। সেরাম ইনস্টিটিউটের বাংলাদেশে কোন কার্যালয় নেই। বেক্সিমকো ফার্মা নিজের উদ্যোগে সেরাম ইনস্টিটিউট এর সাথে যোগাযোগ করে করণা ভাইরাসের ভ্যাকসিন এর জন্য ডিস্ট্রিবিউটরশীপ নেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বেক্সিমকো ফার্মা সেরাম ইনস্টিটিউটে ডিস্ট্রিবিউটর হয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেয়।
সম্প্রতি চ্যানেল আই এর তৃতীয় মাত্রা অনুষ্ঠানে এসে বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমান করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিতর্ক দূর করতে এসব কথা বলেন।
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন এসেছে তবে কি এর নকল বের হবে, তৃতীয় মাত্রার উপস্থাপক জিল্লুর রহমানের এমন প্রশ্নের উত্তরে সালমান এফ রহমান জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার নিজ ব্যবস্থাপনায় ভ্যাকসিন জনগণকে বিনামূল্যে দিচ্ছে। বাণিজ্যিকভাবে টিকা বিক্রির বিষয়টি দেরী আছে। সরকার যেহেতু চল্লিশোর্ধ সবাইকে ভ্যাকসিন দেবার পরিকল্পনা করেছে, তাই বাণিজ্যিক চাহিদা অনেক কমে যাবে। তাই এর নকল বের হবার সম্ভবনা নেই।
অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে সালমান এফ রহমান আশা প্রকাশ করেন, ২০২১ এর শেষ নাগাদ বাংলাদেশের সকল মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবে।
সালমান এফ রহমান ফেব্রুয়ারির ১০ তারিখ ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন। পরে এক ফেসবুক বার্তায় তিনি লিখেছেন - আজকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিলাম। আসুন নিজেরা টিকা নিই, অন্যদেরও টিকা নিতে উৎসাহিত করি। আপনার এই অবদান দেশ ও জাতির করোনা যুদ্ধ জয়ে ভূমিকা রাখবে।
Comentarios