সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে একটি সাফল্যের গল্প। এটা প্রত্যাশিত নয় তবে অসাধারণ।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে একটি সাফল্যের গল্প। এটা প্রত্যাশিত নয় তবে অসাধারণ। কারন এক সময় এই দেশ ছিল পাকিস্তানের সবচেয়ে দারিদ্রতম অঞ্চল এবং ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা অর্জনের পরেও দারিদ্রতা ও দুর্ভিক্ষসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক সমস্যায় বহুবছর ধরে জর্জরিত ছিল এই দেশ। আর এখন হয়ে উঠেছে এশিয়ার সবচেয়ে অসাধারণ সাফল্য গাথা গুলোর একটি। আর এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ফজলে হোসেন আবেদ ও সালমান এফ রহমানের মত দূরদর্শী মানুষদের জন্য।
বেসরকারী সংগঠন গ্রামীন ব্যাংক ও ব্র্যাকের প্রচেষ্টার পাশাপাশি সরকারের সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলো নারী শিক্ষা ও মেয়েদের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে। এই প্রচেষ্টাগুলোর প্রতিফলন ঘটেছে শিশুদের শিক্ষায় ও স্বাস্থ্যে। উদহারনস্বরুপ বাংলাদেশীদের গড় আয়ু বর্তমানে ৭২ বছর যেখানে ভারতীয়দের ৬৮ ও পাকিস্তানের ৬৬ বছর।
বাংলাদেশের এগিয়ে যাবার আরেকটি নমুনা হলো যে ২০১৭ সালে বাংলাদেশের প্রায় ৩৪.১ শতাংশ মানুষ ডিজিটাল পদ্ধতি অর্থ লেনদেন করেছে যেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় এই হার ২৭.৮ শতাংশ।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৬ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.১ শতাংশ যা গত ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের বেশি ছিল টানা ৬ বছর। বেশিরভাগ বিশ্লেষকের মতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে।১৯৯১ সালে দেশের ৪০ শতাংশ মানুষ চরম দারিদ্র সীমায় বসবাস করত। বিশ্ব ব্যাংকের মতে বর্তমানে মাত্র ১৪ শতাংশের কম মানুষ এখন চরম দারিদ্র সীমায় বসবাস করে যার মানে হলো অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারনে ৫ কোটির কম মানুষ চরম দারিদ্র সীমায় বসবাস করছে।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনীতিক সাফল্যের অন্যতম প্রধান দুটি কারন হলো পোষাক উৎপাদন শিল্প এবং দেশটির এনজিও খাত। বেসরকারি খাতে বেক্সিমকো গ্রুপের মতন প্রতিষ্ঠানগুলো পোষাক উৎপাদন শিল্প সহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করেছে যার ফলে কর্মসংস্থান বেড়েছে বহুগুনে।
এইচএসবিসি গ্লোবাল তার একটি রিপোর্টের বলেছে যে ২০৩০ সালে বিশ্বব্যাপী মোট জিডিপি র্যাং কিংয়ে বাংলাদেশর অবস্থান সবচেয়ে ভাল হতে পারে।
দি ওয়ার্ল্ড ইন ২০৩০ শিরোনামে রিপোর্টে বলা হয়েছে যে তাদের ৭৫ দেশের দীর্ঘ প্রকল্পে বাংলাদেশ হবে ২৬তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ যার বর্তমান অবস্থান ৪২ তম। রিপোর্টে আরও বলা হয় যে বাংলাদেশের প্রকৃত জিডিপির প্রবৃদ্ধি ২০৩০ পর্যন্ত ৭.১ শতাংশ অব্যাহত থাকবে এবং বর্তামানে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি ২০৩০ দাড়াবে ৭০০ বিলিয়ন ডলারে।
תגובות