সালমান এফ রহমান মনে করেন যে ঢাকা এবং তাসখন্দের মাঝে বাণিজ্যিক বিমান চলাচল শুরু হওয়া প্রয়োজন। তার মতে এতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক শক্ত হবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।
উজবেকিস্তানের ডেপুটি ফরেন মিনিস্টার কিছুদিন আগে বাংলাদেশ ভ্রমণ করেছেন। সালমান এফ রহমান সেই সময় উজবেক ডেপুটি ফরেন মিনিস্টারের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সারু কিভাবে শক্ত করা যায় সেই ব্যাপারে আলোচনা করেন। সেই আলোচনায় তিনি ঢাকা এবং তাসখন্দের মাঝে বিমান চলাচল শুরু করবার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং আশা প্রকাশ করেন উজবেক ডেপুটি ফরেন মিনিস্টার তার দেশে যে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সালমান এফ রহমান তাকে আশ্বস্ত করেন যে বাংলাদেশের বিমান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যা যা করা প্রয়োজন, তারা তা করবে।
উজবেকিস্তানের অর্থনীতি সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং তারা এমন একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে যেখান থেকে তারা বিশ্বের নানান দেশ থেকে নানান ধরনের জিনিস ইমপোর্ট করতে পারবে। বাংলাদেশ এমন একটি অবস্থানে বর্তমানে আছে যেখান থেকে উজবেকের স্থানে রেডিমেড গার্মেন্টস এবং টেক্সটাইল প্রোডাক্ট এক্সপোর্ট করা যায়। এতে দুই দেশই লাভবান হবে। রেডিমেড গার্মেন্টস এবং টেক্সটাইল বাদেও আইটি খাত, ঔষধ খাত সহ অন্যান্য অনেক খাতে দুই দেশ মনোযোগ দিতে পারে যা উভয়ের পক্ষেই লাভজনক হবে।
উজবেকিস্তানের ডেপুটি ফরেন মিনিস্টার কে প্রধানমন্ত্রীর প্রাইভেট সেক্টর ইন্ডাস্ট্রি এবং ইনভাসমেন্ট উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান জানান যে বর্তমানে সরকার ১০০ টির উপর স্পেশাল ইকোনমিক জোন তৈরি করছে যেসব জোন তৈরি হয়ে যাবার পর বাংলাদেশ একটি ম্যানিফাকচারিং হাবে পরিণত হবে। সালমান এফ রহমান আশা প্রকাশ করেন যে স্পেশাল ইকনোমিক যোনি যেসব জিনিস উৎপাদন হবে সেইসব জিনিসের অনেক কিছুই উজবেকিস্তান ইমপোর্ট করতে পারবে।
বাংলাদেশের ফার্মাসিটিক্যাল খাত গত বিশ বছরে প্রভূত উন্নতি সাধন করেছে। ১৫২ টি দেশে বাংলাদেশ থেকে উৎপাদিত ঔষধ রপ্তানি হয়। যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য জাপান সিঙ্গাপুর এবং অস্ট্রেলিয়া যার মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের ফার্মাসিটিক্যাল খাত খুব সহজেই উজবেক স্থানে ওষুধ রপ্তানি করতে পারে। বাংলাদেশে তৈরি ঔষধ বিশ্বমানের।
ট্যুরিজম অন্য একটি খাত যেখানে বাংলাদেশ এবং উজবেকিস্তান একই সাথে কাজ করতে পারে। বাংলাদেশ এবং উদ্ভিকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্যিক বিমান চলাচল শুরু হলে এই খাত দ্রুতপ্রসার লাভ করবে বলে মনে করেন সালমান এফ রহমান। বাংলাদেশের রয়েছে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সমুদ্র সৈকত, রয়েছে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন, রয়েছে দৃষ্টিনন্দন চা বাগান এবং চিটাগাং হিল ট্রেকস। উজবেকিস্তানের ভ্রমণ পিপাসু মানুষ খুব সহজেই বাংলাদেশে এসে পৌঁছাতে পারে এবং এসব জায়গা ভ্রমণ করতে পারে।
বিশ্বায়নের এই যুগে বাংলাদেশ এবং উজবেকিস্তান যদি তাদের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গাঢ় করে তাতে দুই দেশেরই লাভ হবে।
Comments