বা্ংলাদেশের প্রখ্যাত ব্যবসায়ীদের মধ্যে অন্যতম হলেন বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান। তিনি বিশ্বাস করেন বাংলাদেশের ভবিষ্যত উজ্জল। দেশের টেক্সটাইল শিল্পের উৎপাদন ক্ষমতা গত কয়েকবছরে দ্বিগুণ হয়েছে। উৎপাদন ক্ষমতা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সালমান এফ রহমান।
অস্বীকার করার উপায় নেই যে বাংলাদেশের সফলতার গল্প সারা বিশ্বের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন করছে। ক্রয় ক্ষমতার সমতায় বাংলাদেশ এখন ৪৬তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তা সালমান এফ রহমান মনে করেন টেক্সটাইল ও পোষাক শিল্পের অগ্রগতী বাংলাদেশকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এটা সত্য যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বেসরকারী খাতের অবদান সবচেয়ে বেশী। শিল্পের মধ্যে টেক্সটাইল ও পোষাক শিল্প দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে। বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান উৎস ছিল টেক্সটাইল পন্য রপ্তানি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তৈরী পোষাক শিল্পর মাধ্যামে প্রায় ২৮ বিলিয়ন ডলারের বেশী রাজস্ব আয় হয়েছে যা দেশের মোট জিডিপির ১২.৩ শতাংশ।
স্থানীয় বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীরা মুলত বাংলাদেশের টেক্সটাইল উৎপাদন নিয়ন্ত্রন করে। শীর্ষ টেক্সটাইল কোম্পানীগুলো হলো বেক্সিমকো গ্রুপ, স্কয়্যার, সিনহা, থারম্যাক্স, নোমান, ডিবিএল এবং ফকির গ্রুপ। বাংলাদেশ ২০১৬ পর্যন্ত তৈরী পোষাক উৎপাদনে বিশ্বে ২য় স্থানে ছিল যেখানে প্রথম স্থানে ছিল চীন।
পশ্চিমা ফ্যাশান ব্র্যান্ডগুলো রপ্তানিতে বাংলাদেশ ২য় বৃহত্তম দেশ।
রপ্তানি আয়ের ৭০ শতাংশ আসে তৈরী পোষাক থেকে। তবে কৃষি, সামুদ্রিক খাবার, পাট, চামড়া এবং ইস্পাত শিল্পের মতো অন্যান্য সেক্টরগুলি দেশের এই বিশাল উন্নয়নের প্রধান অংশীদার।
Comments